জাতীয় দলের হয়ে মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন স্পিনার মেহেদি হাসান। নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি তিনি। তবে ঘরোয়া আসরে যে কোনো ফরম্যাটে বেশ উপযোগী খেলোয়াড় মেহেদি। সেটির প্রমাণও দিয়েছে ঘরোয়া আসরে। এবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ১৭তম ম্যাচে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে পিঞ্চ হিটার হিসেবে খেলতে নেমে ২৯ বলে ৫৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। তার ব্যাটিং নৈপুণ্যে কুমিল্লাকে ৫ উইকেটে হারায় ঢাকা। কিন্তু বিপিএল নিয়ে আক্ষেপ আছে মেহেদির। কী সেই আক্ষেপ?
মেহেদি বলেন, ‘আসলে দেশি খেলোয়াড়েরা এই টুর্নামেন্টে তেমন সুযোগ পায় না। সব ফ্র্যাঞ্চাইজিরা বিদেশিদের উপর নির্ভরশীল থাকে যে, ওরা সব কিছু করতে পারবেই। দেশিদের সেভাবে সুযোগ না দিলে আমরা শিখব কীভাবে? আমাদের শেখার একটা অপশন থাকতে হবে এমন বড় ইভেন্টে। এই অপশনটা থাকে না ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে। তারা সবসময় বিদেশিদের উপর বেশি আস্থা রাখে।’
শারীরিকভাবে শক্তিশালী বলেই বিপিএলে বিদেশিরা বেশি সুযোগ পান জানান মেহেদি, ‘আমরা একটু পিছিয়ে আছি, শারীরিক শক্তির দিক থেকে। বিদেশি সবাইকে দেখেন ওরা অনেক শক্তিশালী। আমরা যেটা চার মারি, ওরা সেটা ছয় মারে। পার্থক্যটা এখানেই। এই জন্যই ওরা এগিয়ে যাচ্ছে।’
এত কিছুর পরেও দেশি খেলোয়াড়রা ভালো করছে বলে মনে করেন মেহেদি, ‘সবমিলিয়ে বলব যে দেশি খেলোয়াড়রা এতোটা খারাপও করছে না। তারা সুযোগ যেটা পাচ্ছে মোটামুটি ভালোই করছে। এই জায়গা বোলারদের জন্য খুবই চ্যালেঞ্জিং। তো ব্যাটসম্যানদের জন্য খুব ভালো ছিল দ্বিতীয় পর্বটা। দেশি ব্যাটসম্যানদের জন্য অনেক কিছু শেখার আছে। এইরকম উইকেট পাওয়া মুশকিল। মিরপুর-সিলেট যাই বলেন, চট্টগ্রামে বেশি ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। এখান থেকে শিখতে পারলে আমাদের জন্য কাজে দিবে।’