‘জাতীয় ক্রাশ’ জাহানারা এখন আন্তর্জাতিক ‘ক্রাশ

পুরুষ ক্রিকেটে সাকিব-তামিম-সৌম্য-লিটন-তাসকিনদের হাজার হাজার নারীভক্ত রয়েছে। যদিও সবার মনে কষ্ট দিয়ে একে একে সবাই বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন। সময়ের যাত্রায় এগিয়ে গেছে মেয়েদের ক্রিকেটও। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো পারফর্মেন্স করে অসংখ্য পুরুষের চোখে তারা এখন স্বপ্নের নায়িকা।

জাহানারা আলমের কথাই ধরা যাক। দুর্দান্ত পারফর্মেন্স আর ফ্যাশন সচেতনতার কারণে ইতিমধ্যেই এই পেস তারকা ‘জাতীয় ক্রাশ’ উপাধি পেয়ে গেছেন। এবার তার সৌন্দর্যের জয়গান ছড়িয়ে পড়েছে চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে।

ক্রিকেটবিশ্ব মজেছে জাহানারারা কাজল চোখে। ভারতের বিপক্ষে যেদিন মাঠে লড়াই করছিলেন জাহানারা, সেই মুহূর্তে সোশ্যাল সাইটে আলোচনার কেন্দ্রে চলে যায় তার আইলাইনার। টানা টানা চোখে গাঢ় করে ‘আইলাইনার’ মেখে মাঠে নামেন জাহানারা। মাঠে দৌড়াদৌড়িতে শরীরে জমা ঘামে আইলাইনারের রং বেশিক্ষণ টেকার কথা না।

কিন্তু এই নারী বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ম্যাচের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জাহানারাকে একইভাবে দেখা যাচ্ছে। যেভাবে আইলাইনার মেখে মাঠে ঢুকছেন, ঠিক একইভাবে মাঠও ছাড়ছেন। আইলাইনারের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না।

বিষয়টি নিয়ে এতটাই আলোচনা হয়েছে যে, বিবিসির ক্রীড়া বিভাগ পর্যন্ত মজে গেছে। বিবিসির ‘টেস্ট ম্যাচ স্পেশাল’ থেকে টুইটারে জাহানারার টানা চোখের ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, ‘জাহানারার যুদ্ধ-সাজ। কেউ বলতে পারবেন, সে কোন আইলাইনার ব্যবহার করে যা ঘামকে কাঁচকলা দেখায়?’

অস্ট্রেলিয়ার খ্যাতিমান ক্রিকেট সাংবাদিক মেলিন্ডা ফ্যারেল তো এই আইলাইনারের রহস্য উদঘাটন করা নিজের লক্ষ্য বানিয়ে ফেলেছেন, ‘জীবনে এই একটা জিনিসই খুঁজে বের করতে চাই। জাহানারা কোন ব্র্যান্ডের অমোচনীয় আইলাইনার ব্যবহার করে, ওর মতো একটু হলেও ব্যবহার করে দেখতে চাই।’

ভারতীয় এক ক্রিকেটপ্রেমী মন্দাকিনী লিখেছেন, ‘সব খেলোয়াড়ের মধ্যে সে সবচেয়ে স্টাইলিশ। সবার মনোযোগ কেড়ে নেয় এবং আমার অফিসে ক্রিকেটারদের মধ্যে তাকে নিয়েই বেশি আলোচনা হয়।’ অভিষেক শর্মা নামে একজন লিখেছেন, ‘উপমহাদেশে এই আইলাইনারকে বলা হয় সুরমা।

এটা খারাপ কোনো কিছু থেকে রক্ষা করে বলে বিশ্বাস করা হয়।’ ডমিঙ্গোজ আরাউজো নামে একজন লিখেছেন, ‘ম্যাচের (ভারতের বিপক্ষে) ক্রাশ ছিলেন জাহানারাই’। অস্ট্রেলিয়ার জেমি অ্যান্ডারসন লিখেছেন, ‘জাহানারার আইলাইনার আমাকে নতুন জীবন দিচ্ছে।’

Leave a Comment